আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে-তাদের ঘিরে কতই না প্রশ্ন মনে ভির করে। প্রশ্নগুলো অনেক সময় সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আর মেলে না। প্রাত্যহিক জীবনের এমনই কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়ে আমি আজ লিখছি।
আজকের বিষয় : আমরা বুড়ো হই কেন?
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে কোলাজেন নামে এক সুতোজাতীয় জিনিস কম তৈরি হয়। আমাদের চামড়া, পেশি, হাড় ইত্যাদিকে সবল বা টানটান করে রাখতে ওই জিনিসটার একান্ত প্রয়োজন। বেশি বয়সে শরীরে কোলাজেন তন্তুর পরিমাণ কমে যাবার ফলে চামড়া, পেশি শিথিল হয়ে কুচকে যায় এবং হাড়ও কমজোর হয়ে পড়ে। বুড়ো হওয়ার আর একটা বড় কারণ শরীরের কোষগুলির বিভাজন বন্ধ হয়ে যায়। শরীরের মূল উপাদান যে কোষ তার একটা ভেঙে দুটো, দুটো ভেঙ্গে চারটি এইভাবেই গোটা মরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরি হয়। মানুষের ক্ষেত্রে এই কোষ বিভাজন ৩০-৩৫ বছর পর্যন্ত চলে। নতুন তৈরি হওয়া কোষ পুরনো কোষের জায়গা নেয়। কোষ-বিভাজনের হার কমে গেলে অথবা তা বন্ধ হয়ে গেলে শরীরের বিভিন্ন অংশে কোষের সংখ্যা কমতে থাকে। মস্তিস্কের স্নায়ুকোষগুলির সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে তার কাজ করার ক্ষমতা কমে আসে এবং তার প্রভাব পড়ে যবতীয় শারীরিক এবং মানসিক কাজকর্মের ওপর। শরীরের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ, যেমন কিডনি,যকৃত, বিভিন্ন গ্রন্থির কোষসংখ্যা কমার ফলে সেগুলি কমজোর হতে থাকে। শরীরের রক্ত-চলাচল ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চোখ, কান, হাড়, রক্তকণা, চামড়া, চুল, নখ, দাঁত-সবকিছুই একটু একটু করে ক্ষয়ে যেতে থাকে। এমনকী, অন্ত্রের মধ্যে পাচক রস তৈরির হার কমে যাবার ফলে হজমের গোলমাল দেখা দেয়। এসবই হল বার্ধক্যের বহিঃপ্রকাশ।
আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment