Breaking

Thursday, May 19, 2016

এক গ্রহের সাথে অন্য গ্রহের ঠুকাঠুকি লাগে না কেন?

আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে-তাদের ঘিরে কতই না প্রশ্ন মনে ভির করে। প্রশ্নগুলো অনেক সময় সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আর মেলে না। প্রাত্যহিক জীবনের এমনই কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়ে আমি আজ লিখছি।

আজকের বিষয় :  এক গ্রহের সাথে অন্যগ্রহ ঠোকঠুকি লাগে না কেন?

http://besteducationpage.blogspot.com/


পৃথিবী আর বাকি সব গ্রহরা সূর্যকে ঘিরে লাট্টুর মতো পাক খাচ্ছে। প্রত্যেকটা গ্রহেরই একটা নির্দিষ্ট কক্ষপথ আছে। কক্ষকে যদি চাকার সঙ্গে তুলনা করা যায় তবে দেখা যাবে, সূর্য থেকে যে গ্রহ যত দূরে, সূর্যকে ঘিরে তার ঘোরার চাকাটা তত বড়। কোন চাকা কতটা বড়, একটা সহজ হিসেব দিয়ে তা বোঝানো যেতে পারে। সবচেয়ে কাছের গ্রহ বুধ রয়েছে সূর্য থেকে গড়ে প্রায় ২.৯ কোটি কি.মি. ব্যাসার্ধের একটা চাকা কল্পনা করলে, বুধ ঘুরছে তার গা বেয়ে । পরের গ্রহ শুক্র সেক্ষেত্রে রয়েছে সূর্য থেকে প্রায় ৫.৪ কোটি কি.মি. দূরত্বে। বুধের চাকার বাইরে শুক্রের বড় চাকার ব্যাসার্ধ দাঁড়াবে প্রায় ৫.৪ কোটি কি.মি.। পৃথিবীর কক্ষটা তার চেয়েও বড়। সূর্যকে ঘিরে তৃতীয় চাকা, যার গা বেয়ে পৃথিবী ঘুরছে, তার বাসার্ধ হল ৭.৪৮ কোটি কি.মি,.। এভাবে দেখলে, যত দূরের গ্রহে যাওয়া যাবে ততই তাদের কক্ষপথ বা ঘোরার চাকাটা বড় হবে। ছোট থেকে বড় চাকাগুলো যেমন একটার ভেতর আর একটা ঢুকে যাবে, তেমনই গ্রহগুলির (প্লুটোর বিষম কক্ষপথের কথা বাদ দিলে) কক্ষপথও ছোট থেকে বড় হিসেবে একে অপরের ভিতরে অবস্থান করছে। এই কক্ষপথগুলি কখনোই একে অপরকে অতিক্রম করে যায় না বলেই গ্রহগুলির মধ্যে ঠোকাঠুকির কোনো আশঙ্কা নেই।
http://besteducationpage.blogspot.com/



No comments: