Breaking

Monday, May 23, 2016

বৃষ্টি পড়ে কেন? (অজানাকে জানি জানাকে জানাই)

আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে-তাদের ঘিরে কতই না প্রশ্ন মনে ভির করে। প্রশ্নগুলো অনেক সময় সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আর মেলে না। প্রাত্যহিক জীবনের এমনই কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়ে আমি আজ লিখছি।

আজকের বিষয় : বৃষ্টি পড়ে কেন? 

বৃষ্টি পড়ে কেন? (অজানাকে জানি জানাকে জানাই)

সূর্যের তাপে নদী-নালা-সমুদ্রের জল প্রতি মুহূর্তে জলীয়বাষ্পে রূপান্তরিত হয়ে বাতাসে মিশছে। হিসেব করে দেখা গেছে, গোটা পৃথিবীর সমস্ত সমুদ্র থেকে প্রতিদিন গড়পড়তা ১,২৩০ ঘন কি.মি. আর মহাদেশীয় অঞ্চল থেকে ১৯৫ ঘন কি.মি. করে জল বাষ্প হয়ে বায়মন্ডলে পৌঁছে যায়। যতই তা উঁচুতে ওঠে, চারপাশের ঠান্ডা বাতাসের মধ্যে তা ততই ঠান্ডা হতে থাকে। একসময় সেই জলীয়বাষ্প খুব ঠান্ডায় আবার জলকণায় রূপান্তরিত হয়। উচ্চতর স্তরের খুব ছোট ছোট বরফকণা বা নিম্নতর স্তরের জলকণা যখন ঝাঁক বেঁধে বায়ুমন্ডলে ভাসতে থাকে আমরা তখন তাকে বলি মেঘ। সমুদ্রের জোলো বাতাস যে নুন বয়ে এনে ছড়িয়ে দেয়, সেগুলির বা বাতাসে ভেসে থাকা ধূলিকণার আশ্রয়ে জলীয়বাষ্প জলকণাগুলিকে বাসা বাধার সুযোগ করে দেয়। জমাটবাঁধা জলকণাগুলি একটা নির্দিষ্ট আকার পর্যন্ত বায়ুস্তরে ভেসে থাকতে পারে তার চেয়ে বড় হলেই পৃথিবীর টানে নীচে নেমে আসে। এটাই হল বৃষ্টি। এই পড়তিমুখী জলকণা উর্দ্ধমুখী বায়ু¯স্রোতে পড়ে গেলে, উচ্চতর স্তরে পৌছবার সময় ঠান্ডা পরিবেশে জমে বরফ বা তথাকথিত শিলা হয়ে যায়। এরাই যখন যথেষ্ট বড় হয় তখন শিলাবৃষ্টিরূপে পৃথিবীতে নেমে আসে।
আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু  পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।

No comments: