আজকের বিষয় : বাদুড়ের অন্ধকারে চলতে-ফিরতে অসুবিধে হয় না কেন?
প্রায়-অন্ধকারে দেখার জন্য প্যাঁচার যে বিশেষরকম দৃষ্টিশক্তি আছে, বাদুড়ের তা নেই। একেবারে নিকষ অন্ধকার, যেখানে আলোর রেশমাত্র পৌছায় না, সেখানেও বাদুড় স্বাচ্ছন্দে উড়ে বেড়ায় এবং শিকার ধরে। এর ব্যাপারে বাদুড়কে চোখের বদলে সাহায্য করে তার মুখ আর কান। বাদুড় মুখ দিয়ে যে শব্দ করে তার কম্পাংক এতই বেশি যে আমাদের কানে তা ধরা পড়ে না। একে বলা হয়, শ্রুতিপারের শব্দ বা আলট্রাসাউন্ড। ওই শব্দ কোনো কিছুতে ধাক্কা খেয়ে যখন ফিরে আসে তখন তা বাদুড়ের কানে ধরা পড়ে, এবং তা শুনে বাদুড় সেই জিনিসের অবস্থান বুঝতে পারে। এর ফলে অন্ধকারে পোকামাকড় শিকার করতে বাদুড়ের যেমন অসুবিধে হয় না , তেমনই চোখে দেখতে না পেলেও কোনো কিছুতে ধাক্কা খাওয়ার ও সম্ভাবনা থাকে না। বাদুড়ের এই উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দসংকেত পাঠিয়ে লক্ষ্যবস্তুকে সনাক্ত করার ব্যাপারটার সঙ্গে আমাদের রাডার ব্যবস্থার মিল রয়েছে।
আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment