আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে-তাদের ঘিরে কতই না প্রশ্ন মনে ভির করে। প্রশ্নগুলো অনেক সময় সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আর মেলে না। প্রাত্যহিক জীবনের এমনই কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়ে আমি আজ লিখছি।
আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।
আজকের বিষয় : সাপের গা ঠান্ডা কনে?
যে কোনো প্রাণীর শরীরের ভেতর খাদ্যকণা ভেঙে যে শক্তি তৈরি হয় তা প্রাণীর অঙ্গপ্রতঙ্গকে সচল রাখে এই শক্তি প্রাণীর শরীরে তাপ সৃষ্টি করে। স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখিদের মগজে থাকে হাইপোথ্যালামাস নামে একটা অংশ যা শরীরের উষ্ণতাকে একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় ধরে রাখে। মানুষের ক্ষেত্রে এটা হল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাইরে গরম-টান্ডা থেকে বাঁচতে স্তন্য পায়ীদের সাহায্য করে তাদের পুরু চামড়া আর লোম, পাখিদের বাচঁতে সাহায্য করে তাদের পালক। সাপের মগজের হাইপোথ্যালামাস খুব সক্রিয় নয়, ফলে সাপের শরীরের নির্দিষ্ট উষ্ণতা বজায় রাখতে তা বিশেষ সাহায্য করে না। সাপের চামড়ায় লোম নেই। ফলে শরীরের জল অনবরত বাষ্প হয়ে উবে যায়। এর জন্য সাপের চামড়া প্রয়োজনীয় তাপ নেয় শরীর থেকে। এতে শরীরের উষ্ণতা কমে। তা ছাড়া, সাপের শরীরে খাবারদাবার হজম হয় খুবই ধীর গতিতে। অর্থাৎ, খাদ্যকনারা ঢিমেতালে শক্তির জোগান দেয়। এ ফলে সাপের শরীরে কম তাপ উৎপন্ন হয়। এই সব কারণেই আর সব প্রাণীর তুলনায় সাপের গা এত ঠান্ডা।আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment