আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে-তাদের ঘিরে কতই না প্রশ্ন মনে ভির করে। প্রশ্নগুলো অনেক সময় সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আর মেলে না। প্রাত্যহিক জীবনের এমনই কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়ে আমি আজ লিখছি।
আজকের বিষয় : সাবান দিয়ে ঘষলে নোংরা কাপড় চোপড় পরিষ্কার হয় কেন?
সাবান তৈরি হয় সোডিয়াম বা পটাশিয়াম লবণ থেকে। চর্বিজাতীয় অ্যাসিড থেকেও সাবান তৈরি হয়। সাবানের দ্রবণ জলের পৃষ্ঠটান কমানোর ক্ষমতা রাখে। একটা প্লেটের ওপর একটুখানি জল ফেললে তা একটা ছোট্ট জায়গায় আটকে থাকে, চারদিকে ছড়িয়ে যায় না। এটার জন্য দায়ী জলের পৃষ্ঠটান, যার দরুন জলের অণুগুলো পরস্পরকে আঁকড়ে ধরতে চায়। প্লেটের ওপর বড়সড় একটা জলের ফোটার মধ্যে সাবানের কণা বা ডিটারজেন্টের গুড়ো ফেললে সেটা দ্রবীভূত হয়ে জলের পৃষ্ঠটানকে কমিয়ে দেয়, ফলে জলের ফোটা আস্তে আস্তে চারদিকে ছড়িয়ে যায়। জামাকাপড় থেকে ময়লা তোলার ব্যাপারে সাবানের এই গুণটাই কাজে আসে। জামাকাপড়ে ধুলো লাগলে তা ঝাড়লে বা জলে ধুয়ে নিলেই পরিষ্কার হয়ে যায়। তেলজাতীয় জিনিস যখন ময়লাকে কাপড়ের সঙ্গে আটকে রাখে, তখন কিন্তু জলে ধুলেই নোংরার হাত থেকে রেহাই মেলে না। পৃষ্ঠটানের দুরুন তেলের ওপর দিয়ে জলটা গড়িয়ে যায়। সাবানের কণা জলের পৃষ্টটান কমিয়ে দেয় বলেই তা জামাকাপড়কে ভালো করে ভিজিয়ে দিতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে সাবানের দ্রবণও ছড়িয়ে যায় কাপড়ের সমস্ত জায়গায়। সাবনের অণুর বৈশিষ্ট্য হল তা আঁকড়ে থাকা ময়লার কণাকে জামাকাপড় থেকে টেনে বাইরে আনতে পারে। তেলের অণুকেও সে টেনে আনার ক্ষমতা রাখে। এই কারণেই, সাবান দিয়ে ঘষলে তেলচিটচিটে নোংরা জামাকপড় পরিষ্কার হয়। আবার ঠান্ডা জলের চাইতে গরম জলে কাপড় কাচলে তা তাড়াতাড়ি পরিষ্কার হয়। গরম জলের পৃষ্ঠটান কম বলেই এমনটা হয়।
আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment