আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে-তাদের ঘিরে কতই না প্রশ্ন মনে ভির করে। প্রশ্নগুলো অনেক সময় সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আর মেলে না। প্রাত্যহিক জীবনের এমনই কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়ে আমি আজ লিখছি।
তেলের বাতি যখন জ্বলে তখন সলতে বেয়ে তেল ওপরে উঠে বাষ্পীভূত হয়। মোমবাতির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। তেলের বদলে তরল মোম সলতে বেয়ে উঠে আগুনের আঁচে বাষ্পে পরিণত হয়। তেল বা মোমের বাষ্প বাতাসের অক্সিজেনের সঙ্গে মিশে পোড়ার ফলেই আগুন জ্বলতে থাকে। তেলের উত্তপ্ত গ্যাস বাতাসের চেয়ে হালকা হওয়ার দরুন ওপরে উঠে যায় এবং চারপাশের ঠান্ডা বাতাস শূন্যস্থান পূরণ করতে আগুনের কাছে এগিয়ে আসে। সলতেয় তেলের বা মোমের জোগান যতক্ষণ অব্যাহত থাকে ততক্ষণ উত্তপ্ত গ্যাস ওপর উঠতে থাকে, এবং আগুনের সংস্পর্শে চারপাশের ঠান্ডা বাতাস গরম হয়ে একই সঙ্গে ওপরে উঠে যায়। তেলের জোগান যখন ফুরিয়ে আসে, কিংবা মোমবাতি যখন ক্ষয়ে ক্ষয়ে প্রায় শেষ হয়ে আসে, তখন তেল বা মোম নিবচ্ছিন্নভাবে সলতেয় পৌঁছতে পারে না। এতে উত্তপ্ত তেলের গ্যাসে পরিমাণটা কমে এবং আগুনের কাছে ছুটে আসা ঠান্ডা বাতাস গরম হয়ে ওঠার সুযোগ পায় না। ওই ঠান্ডা বাতাসের দাপটেই তখন বাতির আলো নিভে যেতে চায়। আলোর শিখার দপদপ করার এটাই হল কারণ। এই অবস্থা চলতে চলতে জ্বালানি তেলের শেষ বিন্দুটি নিঃশেষ হয়ে গেলে আগুন একেবারে নিভে যায়।
আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment