Breaking

Thursday, January 9, 2020

পাহাড়ের যতই উচুতে উঠা যায় ততই ঠান্ডা লাগে কেন? --জানা-অজানা

আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে-তাদের ঘিরে কতই না প্রশ্ন মনে ভির করে। প্রশ্নগুলো অনেক সময় সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আর মেলে না। প্রাত্যহিক জীবনের এমনই কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়ে আমি আজ লিখছি।

আজকের বিষয় : পাহাড়ের যতই উচুতে উঠা যায় ততই ঠান্ডা লাগে কেন?


পাহাড়ের যতই উচুতে উঠা যায় ততই ঠান্ডা লাগে কেন? --জানা-অজানা

পৃথিবীকে ঘিরে রয়েছে যে বায়ুমন্ডল, সূর্যের আলো এবং তাপ ভূপৃষ্টে পৌছাবার পথে সেই মন্ডলকে ভেদ করে আসে। ভূপৃষ্ঠ সেই শক্তির খানিকটা প্রতিফলিত করে ওই মন্ডলের মধ্যে দিয়ে ঊর্দ্ধে ফেরত পাঠায়, আর কিছুটা শোষণ করে নিয়ে, পরে বিকিরণ প্রক্রিয়ায় আবার একই দিকে ফেরত পাঠায়। এর ফলে, ভূপৃষ্ঠের লাগোয়া বায়ুমন্ডলের স্তর সবথেকে বেশি উত্তপ্ত হয় ভূপৃষ্ঠ থেকে বায়ুমন্ডলের স্তরগুলি যতই দূরে হয় ততই কম উত্তপ্ত হয়।
এ ছাড়াও , বায়ুমন্ডলের ঘনত্ব যতই ভূপৃষ্ঠ থেকে দূরে হয় ততই কমে যায় আর সেই কারণেও তাপধারণ। ক্ষমতাও ওপরের স্তরে কমতে থাকে। তাই ভূপৃষ্ঠ থেকে আমরা যতই ওপরে উঠি (অন্তত কিছু দূর পর্যন্ত), পরিবেশ ততই ঠান্ডা হয়। এই বায়ু কত ঠান্ডা হবে সেটা বায়মন্ডলে জলীয়বাষ্পের পরিমাপণও প্রভাবিত করে। মোটামুটি ভাবে, পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে প্রতি কিলোমিটার ঊর্দ্ধে উঠলে ৬.৫ ডিগ্রি সে. থেকে ১০ ডিগ্রি সে. পরিবেশের তাপাঙ্ক কমে যায়। শুষ্ক পরিবেশে এ কমার হার সর্বাধিক ( ১০ ডিগ্র)। সর্বোপরি, পাহাড়ের গা ঢালু বলে সৌরশক্তি সেখানে তির্যকভাবে পড়ে। পাহাড়ি পথ ধরে ওপরে উঠলে ঠান্ডা লাগার এটা আর একটি কারণ।

পাহাড়ের যতই উচুতে উঠা যায় ততই ঠান্ডা লাগে কেন? --জানা-অজানাআজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু  পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।

No comments: