আজকের বিষয় : গরমে আমরা ঘামি কেন?
শরীরের ভেতরে খাদ্যকণা অক্সিজেনের উপস্থিতিতে পুড়ে গিয়ে যে তাপ সৃষ্টি করে তা আমাদের শরীরটাকে সচল রাখে। শরীরের উষ্ণতা একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় বজায় রাখার জন্য শরীরের বাড়তি তাপকে ছেড়ে দিতে হয়। শীতকালে যখন চারপাশের পরিবেশটা ঠান্ডা, আমাদের শরীরের বাড়তি তাপ অনায়াসে পরিবেশে চলে যায়। কিন্তু গরমকালে বাইরের উষ্ণতা যখন বেশি, তখন শরীরের বাড়তি তাপ পরিবেশ নিতে চায় না। তাপমোচনের জন্য তখন আমাদের ঘর্মগ্রন্থির সাহায্য নিতে হয়। ঘর্মগ্রন্থি ছড়িয়ে থাকে শরীরের গোটা চামড়া জুড়ে, তবে মুখমন্ডল, গলা, ঘাড় বা বগলের মতো জায়গায় এরা সংখ্যায় অনেক বেশি থাকে। শরীরের তাপ বেড়ে গেলে ঘর্মগ্রন্থি থেকে ঘাম আমাদের চামড়ার অসংখ্য ছিদ্রের ভেতর দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে এবং বাষ্প হয়ে উবে যায়। ঘামের জল বাষ্পে পরিণত হবার জন্য প্রয়োজনীয় তাপ শরীর থেকে নেবার ফলে শরীরের বাড়তি তাপের সুরাহা হয়, এবং শরীরটাও ঠান্ডা হয়। শরীর থেকে ঘাম সবসময় বেরোলেও, বাতাসে সঙ্গে সঙ্গে উবে যাবার ফলে আমরা তা টের পাই না। বর্ষাকালে বা গুমোট গরমের সময় বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকলে শরীরের ঘাম বাইরে বেরিয়ে চট করে বাষ্পে পরিণত হতে পারে না। ফলে তখন বেশি করে ঘামি আমরা।
আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment