আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে-তাদের ঘিরে কতই না প্রশ্ন মনে ভির করে। প্রশ্নগুলো অনেক সময় সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আর মেলে না। প্রাত্যহিক জীবনের এমনই কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়ে আমি আজ লিখছি।
আজকের বিষয় : কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি কেন?
শরীরের মাংসপেশিতে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমা হলে পেশি নিষ্ক্রিয় হতে থাকে এবং তারই ফলে আমদের শরীরে ক্লান্তি আসে। একটানা কাজ করলে, অর্থাৎ মাংসপেশিগুলিকে চালনা করলে শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড এবং আরও কিছু বিষাক্ত জিনিস তৈরি হয়, যাদের নাম টক্সিন। রক্তের মধ্যে দিয়ে ও গুলি শরীরের যাবতীয় পেশি, এমনকী মগজের বিভিন্ন অংশে পৌছায় । এর ফলেই শরীর-মনে অবসাদ আসে। কুকুরদের নিয়ে পরীক্ষায় দেখা গেছে, খুব ক্লান্ত কুকুরের রক্ত যদি সতেজ, চনমনে কুকুরের শরীরে দেওয়া যায় তবে সেও ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আবার উলটোটাও সত্যি। একটানা পড়াশুনো করতে করতে মগজের মধ্যে টক্সিন জাতীয় জিনিসের উপস্থিতি বেড়ে গেলে মানসিক অবসাদ দেখা দেয়। সেই অবস্থায় শরীরের পেশিগুলি সতেজ থাকে বল একটু হাটাহাটি অথবা খেলাধুলো করলে, অর্থাৎ শরীরের পেশিগুলোয় রক্ত-চলাচল বাড়িয়ে নিলে, মগজে জমা হওয়া টক্সিনের ভাগ কমে যায়। এর ফলে মানসিক ক্লান্তি কেটে যায়। তবে শরীর-মন দুটোই যদি ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তবে ঘুমই হল ক্লান্তি কাটানোর সেরা উপায়। ঘুমের সময় শরীরের অঙ্গপ্রতঙ্গ অনেকটা নিক্রিয় হয়ে পড়ায়, পেশিতে জমা ল্যাকটিক অ্যাসিড ও অন্যান্য টক্সিন যেমন সয়ে যায়, তেমনই মস্তিষ্কের নার্ভকোষগুলিও বিশ্রাম পাওয়ার ফলে নতুন করে কাজের উপযোগী হয়ে ওঠে।
আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment