আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে-তাদের ঘিরে কতই না প্রশ্ন মনে ভির করে। প্রশ্নগুলো অনেক সময় সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আর মেলে না। প্রাত্যহিক জীবনের এমনই কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়ে আমি আজ লিখছি।
আজকের বিষয় : ঘামাচি হয় কেন?
আমাদের চামড়ার ভেতরে যে ডার্মিস স্তর রয়েছে, তারনীচে অসংখ্য ঘর্মগ্রন্থির অবস্থান। প্যাঁচানো টিউবের মতো ঘর্মগ্রন্থি চামড়ার ওপরে এপিডার্মিস স্তর ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে আসে। মগজের হাইপোথ্যালামাস অংশের নির্দেশ পেলেই ঘর্মগ্রন্থি ঘাম তেরি করতে শুরু করে, এবং তা নালীপথে চামড়ার বাইরে বেরিয়ে বাষ্প হয়ে উবে যায়। গরম অথবা বর্ষার সময় বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকলে, ঘাম যখন বাষ্প হয়ে উবে যেতে পারে না তখন তা জলবিন্দুর আকারে চামড়ার ওপর জমা হয়। ঘামের প্রায় সবটাই হল বিশুদ্ধ জল; তাতে সামান্য পরিমাণে ইউরিয়া, ল্যাকটিক অ্যাসিড, গ্লুকোজ, লোহা, গন্ধক, সাধারণ নুন ইত্যাদি থাকে। এগুলো শরীর থেকে বেরিয়ে যায় বলে বেশি ঘামলে ক্লান্ত লাগে। কোনো কারনে চামড়ার গায়ে ঘর্মগ্রন্থির নালীমুখ বন্ধ হয়ে গেলে, ঘাম বাইওে বেরোতে না পেরে চামড়ার নীচে আটকা পড়ে। এই আটকে থাকা ঘামের চাপে চামড়া ফুসকুড়ির আকাওে ফুলে ওঠে। ঘামাচি গলে দিলে যে জল বেরোয় তা ঘাম ছাড়া কিছুই নয়। গরমের দিনে পলিয়েস্টারের বদলে সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পড়লে শরীরের চামড়ায় বেশি হাওয়া খেলে। এতে ঘাম তাড়াতড়ি বাষ্পে পরিণত হয়। ঘাম বসে ঘর্শনালীর মুখ বন্ধ হয়ে যায় না বলে, সুতির জামাকাপড় পরলে ঘামাচির হাত থেকে কিছুটা রেহাই মেলে। ট্যালকম পাউডারও ঘাম শুকোতে সাহায্য করে বলে ঘামাচি থেকে বাঁচতে তা সাহায্য নেওয়া যায়। কিন্তু যদি ওই পাউডাডার কোনো কারণে ঘাম বেরোবার নালিমুখ বন্ধ করে দেয়, সেক্ষেত্রে ঘামাচি সৃষ্টিতে সাহায্য ও করতে পারে ।
আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment