আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে-তাদের ঘিরে কতই না প্রশ্ন মনে ভির করে। প্রশ্নগুলো অনেক সময় সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আর মেলে না। প্রাত্যহিক জীবনের এমনই কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়ে আমি আজ লিখছি।
আজকের বিষয় : কালবৈশাখি ঝড় বিকেল বা সন্ধের মুখে হয় কেন?
কালবৈশাখী ঝড়ের দেখা মেলে মার্চ মাসের গোড়া থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত। সূর্যের উত্তরায়ন তখন, তাই তাপের মাত্রা উত্তর গোলার্ধে থাকে বাড়তির দিকে। এই সময় বিহারের মালভূমি অঞ্চল অর্থাৎ রাঁচি, হাজারিবাগের মতো জায়গা ও চারপাশের বাতাস সারাদিন ধরে প্রচন্ড গরম হয়। গরম বাতাস হালকা বলে ওপরে উঠতে থাকে। যার ফলে সেখানে নি¤œচাপ ক্ষেত্র তৈরি করে। তখন দক্ষিণ-পশ্চিম বায়ু বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয়বাষ্প নিয়ে ছোটে বিহারের ওইসব নি¤œচাপ অঞ্চলের দিকে। বিহারের শুকনো বাতাস আর বঙ্গোপসাগরের ভিজে বাতাসের ধাক্কাধাক্কিটা হয় কলকাতার পশ্চিমে ধানবাদ, আসানসোল অঞ্চলে। এর ফলে ওখানে দুপুরের দিকে বজ্রমেঘ সৃষ্টি হয়। এই বজ্রমেঘের বৈশিষ্ট্য হল এটা যতই পুব দিকে এগোয়, বঙ্গোপসাগর থেকে ক্রমাগত আসে জোলো হাওয়ার সংস্পর্শে নতুন নতুন বজ্রমেঘ তৈরি করতে থাকে। এইভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের আকাশ জুড়ে বজ্রমেঘ এগোতে থাকে বঙ্গোপসাগরের দিকে এবং এই এগোনোর গতি দাড়ায় ঘন্টায় ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার। এই হিসেবে বজ্র=মেঘ দক্ষিণবাংলার জেলাগুলিতে এসে হাজির হয় বিকেলের পর এবং ঝড়-জল শুরু হয় ওই সময়টায়।
আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment