আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে-তাদের ঘিরে কতই না প্রশ্ন মনে ভির করে। প্রশ্নগুলো অনেক সময় সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আর মেলে না। প্রাত্যহিক জীবনের এমনই কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়ে আমি আজ লিখছি।
আজকের বিষয় : শীতকালে গা-হাত-পা ফাটলে গ্লিসারিন লাগাই কেন ?
শীতকালে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমান খুব কমে যায়। শরীরের চামড়ার সূক্ষ্ম ছিদ্র দিয়ে শরীর থেকে জল বেরিয়ে বাতাসে মেশে। বাতাস যত শুকনো হয়, শরীর থেকে জল বেরিয়ে যাবার হারও তত বাড়ে। চামড়ায় জলের পরিমাণ কমে গেলে তা শুকনো, খসখসে হয়ে যায়। ঠোঁটের মতো শরীরের যেসব জায়গার চামড়া খুব পাতলা, সেইসব জায়গায় চামড়া শুকিয়ে কুঁচকে যাবার ফলে তা ফেটে রক্ত বেরোনো অস্বাভাবিক নয়। তেল বা ত্রিমজাতীয় জিনিস ঠোঁটে-ঢুকে বা শরীরের যে কোনো জায়গায় লাগালে তা চামড়াকে শুকনো বাতাসের সংস্পর্শে আসতে দেয় না। এর ফলে, চামড়া থেকে জল বেরিয়ে যাবার হার কমে। তেলতেলে জিনিস চট করে উবে যায় না, তাই তেল বা ক্রিমের প্রলেপ চামড়ার ওপর বেশ খানিকক্ষণ থেকে যায়। গা-হাত-পাকে ফাটার হাত থেকে বাঁচাতে গ্লিসারিন আরও বেশি উপযোগী, কারণ এটা মৃদু যে চামড়াকে শুকনো বাতাসের হাত থেকে বাচাঁয় তাই নয়, বাতাস থেকে জল শুষে নেবার অদ্ভুত ক্ষমতাও এর আছে। শীতকালের শুকনো বাতাসেও যেটুকু জলীয়বাষ্প থাকে, গ্লিাসারিন তা শুষে নিয়ে শরীরের চামড়ায় চালান করে বলেই চামড়ার জলের ভাগ কখনো কমে না। এর ফলে, চামড়া খসখসে হয় না বা ফাটে না।
আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment