Breaking

Friday, January 10, 2020

কারও কারও ডিম বা চিংড়িতে অ্যাল্যার্জি হয় কেন? -- জানা-অজানা


আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে-তাদের ঘিরে কতই না প্রশ্ন মনে ভির করে। প্রশ্নগুলো অনেক সময় সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আর মেলে না। প্রাত্যহিক জীবনের এমনই কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়ে আমি আজ লিখছি।

আজকের বিষয় : কারও কারও ডিম বা চিংড়িতে অ্যালার্জি হয় কেন?


কারও কারও ডিম বা চিংড়িতে অ্যাল্যার্জি হয় কেন? -- জানা-অজানাকারও কারও ডিম বা চিংড়িতে অ্যাল্যার্জি হয় কেন? -- জানা-অজানাআমাদের শরীরে রোগজীবাণু ঢুকলেই শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠে; রক্তের মধ্যে রোগ-প্রতিরোধকারী এক ধরনের প্রোটিন তৈরি হতে থাকে। এর নাম ইমিউনোগ্লোবিউলিন। এর আবার নানান ভাগ। শুধু রোগজীবাণুর ক্ষেত্রেই নয়, অনেক সময় অচেনা কিছু শরীরে ঢুকলেও রোগ প্রতিরোধকারী প্রোটিন তৈরি হয়। এর ফলেই অ্যালার্জির উপসর্গ দেখা দেয়। ধরা যাক, কারও ডিমে অ্যালার্জি আছে। জীবনে প্রথম যেদিন সে ডিম খেয়েছিল সেদিন ডিমের  বিরুদ্ধে তার শরীরে বিশেষ ধরনের ইমিউনোগ্লোবিউলিন তৈরি হয়েছিল। ওই জিনিসটা চামড়ার নিচে অথবা শরীরের যেসব জায়গায় শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি রয়েছে সেখানকার বিশেষ কোষের মধ্যে জমা হয়। এরপর যতবারই সে ডিম খাবে, তা শরীরের ওই বিশেষ কোষগুলিকে সক্রিয় করবে এবং সেখানে জমে থাকা ইমিউনোগ্লোবিউলিনের কারসাজিতে হিস্টামিন সেরোটনিন, হিপানিন, নামে সব রাসায়নিক জিনিস বেরোতে থাকবে। এর ফলেই অ্যালার্জির উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন, হিস্টামিন চামড়ার নীচে থাকা রক্তনালীগুলির দেয়ালের এমন কিছু ক্ষতি করে যার ফলে রক্তের জলীয় অংশ বেরিয়ে এসে চামড়ার নীচে জমা হয়। এর ফলে জায়গাটা ফুলে ওঠে আর চুলকোয়। মজার কথা, শুধু ডিম বা চিংড়ি নয়, মানুষভেদে যে কোনো জিনিস থেকেই অ্যালিার্জির উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু  পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।

No comments: