Breaking

Thursday, January 9, 2020

লোহা ছাড়া অন্য ধাতুতে মরচে ধরে না কেন?--জানা-অজানা


লোহা ছাড়া অন্য ধাতুতে মরচে ধরে না কেন?--জানা-অজানা
আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে-তাদের ঘিরে কতই না প্রশ্ন মনে ভির করে। প্রশ্নগুলো অনেক সময় সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আর মেলে না। প্রাত্যহিক জীবনের এমনই কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়ে আমি আজ লিখছি।

আজকের বিষয় : লোহা ছাড়া অন্য ধাতুতে মরচে পড়ে না কেন?

লোহা ছাড়া অন্য ধাতুতে মরচে ধরে না কেন?--জানা-অজানা



লোহা যখন বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসে তখন দুইয়ে মিলে তৈরি হয় এক বিশেষ ধরনের রাসায়নিক জিনিস, যার রং লাল। এটাই হল মরচে। তবে লোহার সঙ্গে অক্সিজেনের বিক্রিয়ার জন্য জলের উপস্থিতির প্রয়োজন। শুকনো বাতাসের মধ্যে লোহা ফেলে রাখলে মরচে ধরে না। লোহার গায়ে যখন বৃষ্টির জল এসে পড়ে তখন জলের ফোঁটার মধ্যে মিশে থাকা অক্সিজেন লোহার সঙ্গে জোট বেঁধে লাল রঙের মরচের কণা তৈরি করে। জল শুকিয়ে গেলে সেই মরচে লোহার গায়ে লেগে যায়। একবার মরচে পড়লে তা দ্রুত ছড়াতে থাকে। এর কারণ, লোহা এবং অক্সিজেনের মিলনে তৈরি মরচে বাতাসের জলীয়বাষ্প থেকে জলকণা টেনে নেবার ক্ষমতা রাখে। লোহার গায়ে জলের উপস্থিতি যত বাড়ে, ততই বেশি করে সেখানে  মরচে ধরে।
লোহা ছাড়া অন্য ধাতুতে মরচে ধরে না কেন?--জানা-অজানা
লোহা ছাড়াও মরচে ধরে তামায়। জলের উপস্থিতিতে তামা অবশ্য বাতাসের অক্সিজেন ছাড়াও কার্বন ডাই-অক্সাইড জাতীয় গ্যাসের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ‘কপার কার্বোনেট’ বা ‘কপার হাইড্রোক্সাইড’ নামে যেসব রাসানিক জিনিস তৈরি করে তাদের রং সবুজ। সোনা বা প্লাটিনামের মতন দামি ধাতু অবশ্য বাতাসের অক্সিজেন বা অন্য কোনো গ্যাসের সঙ্গে কখনোই সরাসরি বিক্রিয়া করে না। এই কারণেই  এই সব ধাতুতে মরচে পড়ে না।


আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু  পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।

No comments: