আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে-তাদের ঘিরে কতই না প্রশ্ন মনে ভির করে। প্রশ্নগুলো অনেক সময় সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আর মেলে না। প্রাত্যহিক জীবনের এমনই কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়ে আমি আজ লিখছি।
আজকের বিষয় : ভাত খেয়ে ওঠার পর ঘুম পায় কেন?
ভাত হল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার । এর বৈশিষ্ট্য হল, পেটের ভেতরে যাবার পর খুব তাড়াতাড়ি এটা জীর্ণ হয় বা কার্বোহাইড্রেট কণায় ভেঙে যায় । পাকস্থলীতে পৌছানোর পর এটা আরও জীর্ণ হয়ে চটপট অন্ত্রে পৌছে যায়। অন্ত্রের কাজ হল কার্বোহাইড্রেট কণাদের গ্লুকোজে পরিণত করা, যাতে তা সহজেই রক্তের মাধ্যমে শরীরের সমস্ত কোষে পৌছে শক্তি জোগায়। এই কাজে প্রধান ভূমিকা হল অন্ত্রের ভেতকারকার ঝিল্লির । এই ঝিল্লিকে সক্রিয় করে তুলতে শরীরের অন্যান্য জায়গা থেকে রক্ত গিয়ে হাজির হয় সেখানে। মস্তিষ্ক, হাত, পা এবং শরীরের আরও সব জায়গায় রক্ত-চলাচল সাময়িকভাবে কমে গেলে ঘুম ঘুম ভাব আসে, হাত-পায়ে যেন জোর পাওয়া যায় না। ভাতের বদলে মাছ-মাংস বা তেল-ঘিয়ে ভাজা জিনিস খেলে তা চট করে জীর্ণ হয় না, এমকী পাকস্থলীতে গিয়ে ছোট ছোট কণায় ভেঙ্গে যেতে অনেক সময় নেয়। ফলে এগুলির অন্ত্রে পৌছাতেও দেরি হয়। এই জাতীয় খাবার হজম ধীরে ধীরে হয় বলেই, শীরের অন্য জায়গা থেকে অন্ত্রে বেশি পরিমাণে রক্ত না গেলেও চলে। এই কারণেই, প্রোটিন বা চর্বিজাতীয় খাবার খেলে অবসাদ বা ঘুম আসে না।
আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment