Breaking

Saturday, January 11, 2020

বিষম লাগে কেন? -- জানা-অজানা


আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে-তাদের ঘিরে কতই না প্রশ্ন মনে ভির করে। প্রশ্নগুলো অনেক সময় সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আর মেলে না। প্রাত্যহিক জীবনের এমনই কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়ে আমি আজ লিখছি।

আজকের বিষয় : বিষম লাগে কেন?
বিষম লাগে কেন?  -- জানা-অজানা


গলার ভেতর দিয়ে খাবার ও বাতাস একসঙ্গে ঢুকলেও গলার ভেতর যাবার পর তাদের চলার পথ আলাদা হয়ে যায়। বাতাস যে পথ দিয়ে চলে তা হল শ^াসনালী। যে ফুটো দিয়ে বাতাস শ্বাসনালীতে ঢোকে তা হল স্বররন্ধ্র। স্বররন্ধ্রের পথে বাতাস-চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে আলাজিভ। এটা অনেকটা বালব এর মতো কাজ করে। বাতাস শ্বাসনালীতে ঢোকার সময় স্বররন্ধ্য খুলে যায়। এবং পরক্ষণেই বন্ধ হয়ে যায়। আবার, নিশ্বাস ছাড়ার সময় একই ভাবে তা খুলে গিয়ে ভেতরের বাতাস বেরিয়ে আসে। খাবার বা জল আমাদের পেটের ভেতর যায় অন্ননালীর মধে দিয়ে। খাবার দাবার যখন এই অন্ননালীর মুখে থাকে তখন শ্বাসনালীর ফুটো বন্ধ থাকে। তাড়াহুড়ো করে খাবার সময়, অথবা খেতে খেতে কথা বললে অনেকসময় জল বা খাবারের কণা অন্ননালীর বদলে স্বররন্ধ্র দিয়ে শ্বাসনালীতে ঢুকে পড়ে। এর ফলে আমাদের ¯œায়ুতন্ত্র্র উত্তেজিত হয় এবং জোর করে সেই খাবারের কণা অন্ননালীতে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করে। এটা করতে গিয়ে অন্ননালী এবং শ্বাসনালীকে ভেতরকার পেশি জোরে জোরে সংকুচিত হয়। এর ফলে যে শারীরিক অস্বস্তির সৃষ্টি হয়, তাকেই বলে বিষম লাগা।

বিষম লাগে কেন?  -- জানা-অজানা
আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু  পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।