সম-আয়তন বাতাসের চেয়ে ওজনে ভারী বিমানের বাতাসে ভেসে থাকার কায়দাটা আছে তার ডানার আকতি ও গতিবেগের মধ্যে। কোনো বিমানই স্থির অবস্থায় বাতাসে ভাসতে পারে না, বেলুন যা পারে। এরোপ্লেন যখন মাটির ওপর দিয়ে গড়িয়ে যায়, তার ডানার উপর-নিচে উলটো দিক থেকে বাতাস বয়ে আসে। বিমানের ডানার প্রস্থচ্ছেদের একট বেশিষ্ট্য আছে যাকে বলা হয় ‘এরফয়েল সেকশন’। এর ওপরের দিকটা নীচের দিকের তুলনায় বেশি বাঁকানো, ফলে লম্বায় বড়। বিমান যখন জোরো চলে, তখন ডানার ওপর দিকে বাতাসের গতিবেগ নীচের তুলনায় বেশি হয়। ফলে ওপরের দিকে বাতাসের চাপ কমে যায়ও নীচে বেশি হয়। ডানার নীচের উচ্চচাপে এরোপ্লেন ওপরের দিকে উঠতে চায়। আর গতিবেগ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ওপরে উঠে যাবার প্রবণতাও বাড়ে। একসময় বাতাসের উর্দ্ধমুখী বল যখন এরাপ্লেনের ওপর মাধ্যাকর্ষণ বলের চেয়ে বেশি হয়, তখন এরোপ্লেন বাতাসে ভেসে ওঠে।
আকাশে একবার উঠে যাবার পর ইঞ্জিন এরোপ্লেনকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে শক্তি জোগায়। ইঞ্জিন ঘোরায় ‘প্রপেলার’ নামে পাখাকে যা স্কুর মতন বাতাস কেটে সামনে এগিয়ে চলে। এরাপ্লেনের গতিবেগ বাড়লে প্লেনের ক্রমশই উপরে উঠে যাবার কথা। এক্ষেত্রে এরোপ্লেনের ছুুচলো মুখটাকে নীচের দিকে নামিয়ে এমন একটা অবস্থার সৃষ্টি করা হয়, যাতে বাতাসের উর্দ্ধমুখী বল যা এরোপ্লেনকে ঠেলে আকাশে তুলতে চায় এবং মাধ্যাকর্ষণ বল যা এরোপ্লেনকে মাটিতে নামিয়ে আনতে চায় তারা পরস্পরের সমান হয়। এর ফলে এরোপ্লেন ওপর নীচ ওঠা নামা না করে একজায়গায় ভেসে থেকে সামনের দিকে এগিয়ে চলে।
No comments:
Post a Comment