আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে-তাদের ঘিরে কতই না প্রশ্ন মনে ভির করে। প্রশ্নগুলো অনেক সময় সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আর মেলে না। প্রাত্যহিক জীবনের এমনই কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়ে আমি আজ লিখছি।
আজকের বিষয় : বড় হলঘরে আওয়াজ করলে প্রতিধ্বনি শোনা যায় কেন?
একবার মাত্র করা শব্দকে দ্বিতীয়, তৃতীয় বা বেশি সংখ্যকবার শোনা, প্রথম শব্দের প্রতিধ্বনিই শোনা। শব্দের প্রতিফলনের জন্যই এমনটা হয়। আমাদের মস্তিষ্কের বৈশিষ্ট্য হল, আমরা যা কিছু শুনি তার রেশ মস্তিষ্কে ১ সেকেন্ডের ১০ ভাগের ১ ভাগ সময় পর্যন্ত থাকে। এই সময়ের মধ্যে অন্য কোনো শব্দ কানে শুনলেও আমাদের মগজ তা ধরতে পারে না। ক্ষণস্থায়ী শব্দ, যেমন বৃষ্টির ঁেফাটা বা হাততালির আওয়াজ, যদি ঘরের দেয়াল বা অন্য কোনো জড় ব¯ু‘তে বাধা পেয়ে ১/১০ সেকেন্ডে পর আমাদের কানে আবার ফিরে আসে, তবেই আওয়াজটাকে দ্বিতীয়বার শোনার অনুভূতি হয়। বাতাসের শব্দের গতিবেগ সেকেন্ডে ৩৩২ মিটার। উৎস থেকে বেরোনোর পর শব্দ ১/১০ সেকেন্ডে ৩৩.২ মিটার পথ অতিক্রম করতে পারে। শব্দের উৎস থেকে ঘরের দেয়াল যদি অন্ততপক্ষে ১৭.৬ মিটারের (বা ৫৬ ফুট) দূরে থাকে তবে ঘরের এক প্রান্তে আওয়াজ করলে তা অন্যদিকের দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে অন্তত পক্ষে ১৭.৬*২=৩৩.২ মি. অতিক্রম করে আমাদের কানে ফিরে আসতে ১/১০ সেকেন্ডের বেশি সময় নেয়। একমাত্র তখনই প্রতিধ্বনিটা শোনা যাবে। দুটো দেয়ালের এতটা ফারাক একমাত্র হলঘরেই সম্ভব হয় বল ওখানে আওয়াজ করলে প্রতিধ্বনি শোনা যেতে পারে।
আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।
No comments:
Post a Comment